রাগ নিয়ন্ত্রণে ৪ আমল
নিউজ ডেস্ক
রাগ নিয়ন্ত্রণে ৪ আমল
রাগ মানুষের নেক আমল নষ্ট করে দেয়। রাগের সময় মানুষ এমন কিছু কাজ করেন, যার জন্য পরে তাকে অনুশোচনায় ভুগতে হয়। রাগের বশে কারো ক্ষতি করা বীরের কাজ নয়। বরং বীর হলো সেই ব্যক্তি যে কঠিন রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখে।হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘সেই ব্যক্তি শক্তিশালী নয় যে কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে। বরং সেই ব্যক্তি প্রকৃত শক্তিশালী যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে পারে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৮০৯)কখনো কখনো মানসিক কারণে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নের আমল গুলো করা যেতে পারে-
আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা : দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি একটি দোয়া জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। তা হলো-
أعُوذُ باللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ : আউযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তান রজিম। অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৮১২)
চুপ থাকা : অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা না করে চুপ হয়ে যাওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো।
কঠিন কোরো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৭৮৬)
শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৪)
অজু করা : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয় সে যেন অজু করে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৬)
- রাগ নিয়ন্ত্রণে ৪ আমল
- বন্যার্তদের অগ্রিম জাকাত দেওয়া যাবে কি?
- সুলাইমান আ.-কে যে বিস্ময়কর রাজত্ব দিয়েছিলেন আল্লাহ
- হজরত আদম ও মুসা আ.-এর মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল
- বন্যার পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে কী?
- তাসবিহে ফাতেমির ফজিলত
- বন্যার্তদের সাহায্য করা বড় সওয়াবের কাজ
- হাউজে কাউসারে প্রিয়নবী সা.-এর সঙ্গী হবেন যিনি
- মহানবী সা.-এর জন্মের মুহূর্তটি যেমন ছিল
- সূরা নিসার যে আয়াতে একসঙ্গে ১২ জন নবীর কথা বর্ণিত হয়েছে