ঢাকা, রোববার   ০৭ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৩ ১৪৩১

ভারত-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচারে মেতেছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ৪ জুলাই ২০২৪  

ভারত-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচারে মেতেছে বিএনপি

ভারত-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচারে মেতেছে বিএনপি

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য-সম্পর্ককে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে। যেখানে দুদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যা সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে এনে দেবে নতুন মাত্রা। কিন্তু বরাবরই যারা এদেশের কোন ভালো দেখেতে পারে না, সেই বিএনপি যথারীতি এটা নিয়ে শুরু করেছে নতুর ষড়যন্ত্র। সোশ্যাল মিডিয়াসহ সকল মাধ্যমেই তারা বাংলাদেশ বিক্রি হয়ে গেছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

লন্ডনে পলাতক তারেকের নির্দেশেই যে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাদের উদ্দেশ্যও পরিস্কার। সকল ভালো কাজকে অপ্রপারের মাধ্যমে ভুল প্রামণ করে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা। আর বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়েও তারা সেটাই করছে। অপপ্রচারের জন্য তারা এই চুক্তির বিভিন্ন খণ্ডাংশ নিয়ে মানুষের মধ্যে অপপ্রচার করছে। এই চুক্তিকে বাংলাদেশের জন্য একটি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রামণ করতে চাইছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনোভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, রেড ট্রাফিক তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। স্মারকে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে।’

কিন্তু বিএনপি কখোনোই এটা বলে না যে, ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে। তাদের নেতারা অপপ্রচার করছে যে, বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। যা মোটেই ঠিক নয়। তারা বাংলাদেশের সকল উন্নয়রে অতীতেও বাধা সৃষ্টি করেছে আর ভবিষ্যতেও করবে। তাই তাদের কথায় কান না দেয়াই সকলের জন্য মঙ্গলজনক।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়