ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

ডায়েটে যেসব খাবার রাখলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২৭ আগস্ট ২০২৪  

ডায়েটে যেসব খাবার রাখলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

ডায়েটে যেসব খাবার রাখলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিশ্বজুড়ে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে আসছে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়। ফলে কিডনি জটিলতাসহ স্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক কিছুই খেতে পারেন না। তবে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কী খাচ্ছেন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন, সেটাও অত্যন্ত জরুরি। তাই শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকবে না। সঠিক সময়ে খেতে হবে। কারণ পেট খালি থাকলেই শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

নিয়ম করে শরীরচর্চা, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া, বাইরের খাবার না খাওয়া— ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়। নয়তো শর্করার মাত্রায় রাশ টানা সম্ভব নয়। রক্তের শর্ককার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিকদের রোজের ডায়েটে কিছু খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা জরুরি।

তো আর দেরি না করে জেনে নিন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব খাবার অবশ্যই রাখা উচিত ডায়েটে।

উচ্ছে: এই সবজিবে ক্যারেনটিন ও পলিপেপটাইড-পি নামক যৌগ থাকে যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে এই ২ যৌগ। তাই ডায়েটে উচ্ছে, করলার মতো সবজি রাখা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।

মেথি: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতে পারেন মেথির বীজে। রান্নাঘরের এই মসলা রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস সামলাতেও পারদর্শী। মেথিতে রয়েছে থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফল্যাভিন, নিয়াসিনের মতো উপকারী উপাদান। এগুলি ছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম-সমৃদ্ধ মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। মেথি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মেথি তাই মহৌষধ। এক্ষেত্রে ডায়েটে মেথি শাক, মেথি ভেজানো পানি, মেথি চা খেতে পারেন।

দারচিনি: টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায়। মসলাটি গ্লুকোজ গ্রহণের জন্য কোষগুলোকে উদ্দীপিত করে। দারচিনি খেলে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও দারচিনিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যৌগের উপস্থিতি মিলেছে। যা সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ঢ্যাঁড়শ: এই সবজির মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা বিপাকক্রিয়া চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে। বিপাকহার ভালো হলে শারীরবৃত্তীয় সব কাজ ভালো হয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা সঠিকভাবে পরিচালিত হয় ঢ্যাঁড়শ ভেজানো পানি খেলে। ঢ্যাঁড়শে থাকা যৌগ অগ্ন্যাশয়ে শর্করার শোষণের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

বার্লি: কেবল মুঠো মুঠো ওষুধের ওপর নয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ভরসা রাখতে পারেন, বার্লি-পানির ওপর। বার্লিতে রয়েছে ‘বিটা গ্লুকান’ নামক সহজপাচ্য একটি ফাইবার। যা রক্তে উপস্থিত অতিরিক্ত শর্করা শোষণে বাধা দেয়। হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এই বার্লি ভেজানো পানি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়