চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজবাড়ীতে সাবেক রেলমন্ত্রীসহ দশজনের বিরুদ্ধে মামলা
নিউজ ডেস্ক
চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজবাড়ীতে সাবেক রেলমন্ত্রীসহ দশজনের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজবাড়ীতে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ীর পাংশা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে (আমলী আদালত) বাদী হয়ে মামলাটি করেন এবিএম নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ ওহাব। বাদী নাজিমুদ্দিন পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের শিহড় গ্রামের মৃত দলুর উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন, সাবেক রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম (৭২), পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো (৫৮), সাইফুল ইসলাম বুড়োর ছেলে পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার তাসবির হাসান সিসিল (৩২), মাসুদ উল আলম (৬৩), আকবর আলী প্রামাণিক (৬৪), জমির হোসেন জিকু (৩৮), ছানারুদ্দিন খান ওরফে ছানাই খাঁ (৫৫), মতিয়ার রহমান (৩৪), মাহবুবুল আলম ওরফে মালেক খান (৪৪), ইদ্রিস মন্ডলসহ (৪৪) অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ ওহাব সপ্তগ্রাম ঈদগাহ কমিটি ও গোরস্থান কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে মামলার ১নং আসামির নির্দেশে ২ ও ৩নং আসামি তাকে সেক্রেটারি পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু মামলার বাদী ওই পদ থেকে সরে না যাওয়ায় ১নং আসামির নির্দেশে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে মামলার ২নং আসামি অন্যান্য ৩/৪ জন আসামিদের মাধ্যমে বাদীকে ডেকে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সাত দিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এবং ঈদগাহ ও গোরস্থান কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ না করলে অপহরণ করে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় মামলার বাদী ওহাব চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা ফাঁকা গুলি করে হুমকি দিয়ে চলে যায়। চাঁদার টাকা না পাওয়ায় পরবর্তীতে মামলার অন্যান্য আসামিরা ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ২১ তারিখে ঈদগাহর প্যান্ডেল ভেঙে ফেলে। ঈদুল ফিতরে ঈদের নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়। ওই দিন বাদী তার নিজ জীবন বাঁচাতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকায় চলে যায়।
মামলার বাদী এবিএম নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ ওহাব বলেন, আমি মামলার আসামিদের ভয়ে জীবন বাঁচাতে ঢাকায় চলে যাই। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আমি এলাকায় এসে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছি। মামলার আইনজীবী রাজবাড়ী বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিচারক মো. ইকবাল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।
- রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন সমন্বয়ক সারজিস
- আওয়ামী লীগের আমলে বিদ্যুৎ খাতে অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে : খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা
- সচিবালয় ঘেরাওকারীরা আনসার লীগের সদস্য : সমন্বয়ক সারজিস
- সিলেটে র্যাবের জালে ধরা পড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আহমদ
- আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন সবার সামনে তুলে ধরতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন : প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনা প্রত্যেক মানুষকে ফ্যাসিস্ট বানিয়েছেন : সমন্বয়ক সারজিস আলম
- আ.লীগপন্থি শীর্ষ আমলারা এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে
- সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরাফাত গ্রেফতার
- হত্যা মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আ স ম ফিরোজ