খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কার লাভ?
নিউজ ডেস্ক
![খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কার লাভ? খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কার লাভ?](https://www.banglarkolorob.com/media/imgAll/2020Aprila/New-Project-78-2407021458.jpg)
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কার লাভ?
সরিষাতেই যদি ভূত থাকে, তাহলে আর করার কিছু থাকে না। তেমনটাই এখন হয়েছে বিএনপিতে। একটা সময় যারা ছিলেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছের মানুষ, তারাই এখন খোলস বদলেছেন। মুখে খালেদার কথা বললেও তলে তলে ঠিকই কাজ করছেন তারেক রহমানের হয়ে। তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে দলীয় নেত্রীর সঙ্গে অভিনয়ের ছলে কথা বলে বের করে আনছেন গোপন তথ্য। পরে তা পাচার করে দিচ্ছেন লন্ডনে। সম্প্রতি বিশ্বস্ত সূত্রে মিলেছে এমনই খবর।
সূত্রটির তথ্যমতে, পরবর্তী কাউন্সিলে ‘বড় পদের’ আশায় দলের একদল সিনিয়র নেতা, বিশেষ করে যারা খালেদা জিয়ার ‘আস্থাভাজন’ তারাই এমনটি করছে। সময়ে-অসময়ে নেত্রীকে দেখতে যাওয়ার ‘মিথ্যে অজুহাতে’ নিয়ে আসছেন তার সর্বশেষ অবস্থার খবর। এমনকি সর্বশেষ খালেদার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর সময়েও তারেকের কথা মতো সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা। উদ্দেশ্য একটাই, যে করেই হোক খালেদাকে আবার কারাভ্যন্তরে পাঠিয়ে দলে একচ্ছত্রভাবে তারেক রহমানের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং নিজেদের কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য হাসিল করা। কিন্তু সব কথা কী আর গোপন থাকে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) নিয়ে অনেকদিন ধরেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রথমে দলের সুবিধাবাদী গোষ্ঠিটি চেয়েছিল তাকে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিতে। কিন্তু পরে পরিকল্পনায় আনা হয় পরিবর্তন। বলা হয়, মেরে না ফেলে তাকে দিয়েই নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে হবে। এ কারণেই তো সবাই ‘লোক দেখানো’ গা ছাড়া ভাবের আন্দোলন করে। মিছিল-মিটিং-সভা-সমাবেশে এসে সেলফি তোলে, খোশগল্প করে। কিন্তু ভুলেও তারা নেত্রীর মুক্তির জন্য আদালতের দরজায় যান না।
তিনি আরও বলেন, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) মেরে ফেললে তো তারেক রহমানের যা লাভ হওয়ার একবারেই হবে। কিন্তু তিনি গভীর জলের মাছ, চান দীর্ঘমেয়াদী লাভ। তাই সোনার হাঁসের সেই মালিকের মতো ভুল করতে চান না। তাকে বাঁচিয়ে রেখেই স্বার্থ সিদ্ধি করতে চান। এজন্যই লন্ডনে বসে এতো নাটক করছেন। বোঝাতে চাইছেন, মায়ের মৃত্যু মানেই তার অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু আদতে বিষয়টি তা নয়। তার যত ভালোবাসা, তা উপরে উপরেই। তা না হলে হৃদযন্ত্রের পেসমেকার বসানোর দিন তিনি কেন খোঁজ নেননি? আর দেশ থেকে ফোন দিলেও তিনি কেন ধরেননি? এর উত্তর কী তার কাছে আছে? নেই।
রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, বিএনপি নেতারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে জেল খাটেন। আদালতে ধরনা দিয়ে জামিন নেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার ব্যাপারে তাদের কেন এত অনাগ্রহ? একবার উচ্চ আদালতে গেলেও বার বার কেন আদালতের দরজায় যান না? এ থেকেই পরিস্কার তারা দলীয় নেত্রীর ভালো চান না, চাইলে অন্তত আর যাই হোক তারেকের কথায় চলতেন না। তাদের হয়তো অজানা, তারেক নিজের স্বার্থের জন্য সবই করতে পারে। পরে আবার প্রয়োজন ফুরালে ফেলতে পারে ছুঁড়ে গভীর আস্তাকুড়েও। তাই সাধু সাবধান। ভাবিয়া করিবেন কাজ, করিয়া ভাবিবেন না।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- রাজধানীতে অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ