অক্টোবর থেকে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের (জেট ফুয়েল) দাম নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতোদিন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) নির্ধারণ করে আসছিল। আগামী অক্টোবর মাস থেকে এটি কার্যকর হবে।বুধবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।বিইআরসি আইনে সব ধরনের জ্বালানির নির্ধারণের এখতিয়ার বিইআরসিকে দেওয়া হয়েছে।

২০০৩ সালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন পাশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও আধাবিচারিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত হয়। গ্যাস ও বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত বিইআরসি মূলত ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত ১৩টি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আর ১২টি প্রবিধানমালা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে রাখা হয়েছে। আইনে সব ধরণের জ্বালানির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার দেওয়া প্রবিধানমালা ঝুলে থাকায় শুধুমাত্র গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে আসছিল বিইআরসি।

২০২৩ সালে হঠাৎ করেই আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে দাম সমন্বয় (কম/বেশি) করার বিধান যুক্ত করা হয়। তারপর থেকে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করায় কার্যত বেকার হয়ে পড়ে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠানটি। বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে দাম চূড়ান্ত করায় ইউটিলিটিগুলোর নানা রকম অসঙ্গতি সামনে আসতো। এতে করে তাদের ওপর এক ধরণের চাপ তৈরি হয়, দিনে দিনে একটি কালচারে পরিণত হতে যাচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করে আওয়ামী লীগ সরকার।

গত ২৭ আগস্ট নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের একক ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গেজেটে বিইআরসি আইনে ৩৪(ক) ধারা সংযোজন করে নির্বাহী আদেশে দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় নির্বাহী বিভাগকে। গেজেটে ৩৪(ক) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে।